বাংলাদেশ সরকারের আইন বিভাগ এর কার্যাবলী এবং কার্যক্রম

বাংলাদেশ সরকারের আইন বিভাগ এর কার্যাবলী এবং কার্যক্রম

জাতীয় সংসদ:
ক. জাতীয় সংসদের পরিচিতি: বাংলাদেশ সংবিধানে এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার প্রবর্তন করা হয়। বাংলাদেশের আইনসভার নাম জাতীয় সংসদ। সংবিধানে বলা হয়েছে জাতীয় সংসদ নামে বাংলাদেশের একটি সংসদ থাকবে এবং এই সংবিধানের কার্যাবলী সাপেক্ষে প্রজাতন্ত্রের আইন প্রণয়ন ক্ষমতা সংসদের ন্যস্ত হবে। রাজধানী ঢাকায় জাতীয় সংসদের স্থায়ী আসন রয়েছে।বাংলাদেশ সরকারের আইন বিভাগ এর কার্যাবলী এবং কার্যক্রম .


খ. জাতীয় সংসদের গঠন: সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদের সাধারণ আসন সংখ্যা 300 ।একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকায় সমূহ মধ্য প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে 300 জন সদস্য নির্বাচিত হবেন এছাড়া 50 টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। তারা সংসদ সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত হন। তবে মহিলা সংরক্ষিত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারবেন।
গ. সংসদের নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা:
যোগ্যতা: জাতীয় সংসদের নির্বাচিত হতে হলে কোন ব্যক্তিকে নিম্ন যোগ্যতার অধিকারী হতে হবে
১. তাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব হবে
২. তাকে অনন্য 25 বছর বয়স্ক হতে হবে।
৩. তার নাম সংসদ সদস্যদের নির্বাচনে ভোটার তালিকাভুক্ত হতে হবে।


বাংলাদেশ সরকারের আইন বিভাগ এর কার্যাবলী এবং কার্যক্রম




অযোগ্যতা সমূহ: কোন ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না যদি_
১. কোন উপযুক্ত আদালত তাকে অপ্রকৃতস্থ বলে ঘোষণা করে।
২. তিনি দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার পর দায় হতে অব্যাহতি লাভ না করে থাকেন।
৩. তিনি কোন বিদেশী রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা কোন বিদেশী রাষ্ট্রের প্রতি অনুগ্রহ ঘোষণা বা স্বীকার করেন।
৪. তিনি নৈতিক সিংহল জনিত কোন মুস্তারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অনন্য রচনাকার দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হয়ে থাক।
৫. ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ যোগসাজশ করে বিশেষ ট্রাইবুনাল আদালতের অধীনে যে কোন অপরাধের জন্য দণ্ডিত হয়ে থাকেন।
৬. আইনের দ্বারা পদাধিকার কারী কে অযোগ্য ঘোষণা করিতেছে না এমন পদ  ব্যতীত তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকেন অথবা তিনি কোন আইনের দ্বারা বা অধীনে নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ঘোষিত হন।

ঘ. সংসদ সদস্যদের আসন শূন্য হওয়ার কারণ:সংবিধানের 67 অনুচ্ছেদে অনুযায়ী কোনো সংসদ সদস্যের আসন শূন্য হবে যদি_
১. তারা নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হতে 90 দিনের মধ্যে তিনি তৃতীয় তফসিল নির্ধারিত শপথগ্রহণ অথবা ঘোষণাকৃত শপথপত্রে বা ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর দান করতে অসমর্থ হন।
২. সংসদ অনুমতি না নিয়ে তিনি একাধিক কবে 90 বৈঠক অনুপস্থিত থাকেন।
৩. সংসদ ভেঙে যায়।
৪. তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর এক সংবিধানের 66 অনুচ্ছেদের দুই দফা অধীনে অযোগ্য ঘোষিত হন অথবা কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হয় কোন ব্যক্তি কোন নির্বাচনের সদস্য সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার পর উক্ত দল ত্যাগ করেন বা বহিস্কৃত হন।
৫. কোনো সংসদ সদস্য স্পিকারের নিকট স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করতে পারেন।
ঙ. সংসদের মেয়াদ: জাতীয় সংসদের কার্যকাল 5 বছর মেয়াদ শেষ হবার পূর্বে প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে না দিলে প্রথম অধিবেশনের দিন হতে পাঁচ বছর অতিবাহিত হলে সংসদ ভেঙে যাবে তবে রাষ্ট্রপতি যদি মনে করেন যে প্রজাতন্ত্র কোন যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পড়েছে তাহলে সংসদ আইন দ্বারা অনধিক এক বছর কাল সংসদের মেয়াদ বাড়াতে পারেন তবে যুদ্ধ শেষ হলে ভর্তি করা যাবে না।
চ. কোরাম: সংবিধান অনুযায়ী কমপক্ষে 60 জন সদস্যের উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদের কাজ চলবে। অর্থাৎ 60 জন সদস্য নিয়ে সংসদের কোরাম গঠিত হবে। সংসদের বৈঠক চলাকালে কোন সময়ে উপস্থিত সদস্য সংখ্যা 60 এর কম হলে যদি সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় তাহলে তিনি অনন্য 60 জন সদস্য উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত বৈঠক স্থগিত রাখবেন কিংবা মলতুবি করবেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Comments system