বাংলাদেশ সংবিধানের সংশোধনী আইন সমূহ ও সংবিধান আইন পরিমার্জন।
বাংলাদেশ সংবিধানের সংশোধনী আইন সমূহ: বাংলাদেশ সংবিধানের সংশোধনী আইন সমূহ, সংবিধান পরিবর্তন শীল। একটি দেশের রাজনৈতিক সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পরিবর্তন সাধিত হলে সে দেশের সংবিধাান পরিবর্তিত হয় । এজন্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরের সংবিধান 30 বার, ভারতীয় সংবিধান 74 বার, এবং বাংলাদেশ সংবিধান এ পর্যন্ত 15 বার সংশোধিত হয়েছেে।বাংলাদেশ সংবিধান (প্রথম সংশোধন) আইন ,১৯৭৩: First Amendment of Bangladesh constitution, 1973: হাজার 973 সালের 12 ই জুলাই তৎকালীন আইনমন্ত্রী মনোরঞ্জন ধর কর্তৃক বাংলাদেশ সংবিধানের প্রথম সংশোধনী আইনের খসড়া বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়। পনেরোই জুলাই তার জাতীয় সংসদ কর্তৃক গৃহীত হয় এবং ওইদিনই রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুমোদিত হয়।হাজার 971 সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন গণহত্যা এবং 14 অপরাধে লিপ্ত পাকিস্তানি স্বর্ণসহ তাদের সহযোগী এদেশীয় অন্যান্যের বিচারের জন্য এই সংশোধনী আইন প্রণয়ন হয়। সংবিধানের এই সংশোধনের ফলে 47 অনুচ্ছেদের দুই দফার পর নিম্নরূপ নতুন দফা যুক্ত হয় এই সংবিধানের যা বলা হয়েছে তা সত্ত্বেও গণহত্যাজনিত অপরাধ মানবতাবিরোধী অপরাধ যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অন্যান্য অপরাধের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিরক্ষা বাহিনী বাহিনীর সদস্য কিংবা সম্মোধন করার মতো কোনো আইনের বিধান এই সংবিধানের কোন সংবিধানে অসম সভ্যতার পরিপন্থী এ কারণে বাতিল বলে গণ্য হবে না।সংবিধানের এই সংশোধনীর ফলে 1971 সালের যুদ্ধ অপরাধ এবং গণহত্যাজনিত কারণে আইন প্রণয়নসহ বিচার করার পথে অসুবিধা দূর হয়।এ সংশোধনীর আওতায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও সরকারের সাথে সহযোগিতাকারীদের যোগসাজশ কারী আইনের মাধ্যমে প্রকাশ্যভাবে সাধারণ আদালতে বিচারের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা। হয়।
বাংলাদেশ সংবিধান (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন ,১৯৭৩: Second Amendment of Bangladesh constitution, 1973:
1973 সালের 18 সেপ্টেম্বর তৎকালীন আইনমন্ত্রী মনোরঞ্জন ধর সংবিধান সংশোধন বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন।দেশে সেপ্টেমর তারা জাতীয় সংসদ কর্তৃক পাস হয় এবং 22 এ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুমোদিত হয় সংবিধানের তৃতীয় সংশোধনী আইনে পরিণত হয় তৃতীয় সংশোধনী ধারা মূল সংবিধানের কয়টি ধারা সংশোধন সংযোজন করা হয়। প্রথমত, এ সংশোধনী মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে জরুরি অবস্থা ঘোষণার ক্ষমতা প্রদান করা হয় পূর্ব জরুরি অবস্থা ঘোষণা কোন বিধান ছিল না সংবিধানের 142 নং অনুচ্ছেদে জরুরি বিধানাবলী তে বলা হয়েছে যে যুদ্ধ বা বহিরাক্রমণ বা অপমান করে তারা বাংলাদেশ এর কোন অর্থনৈতিক জীবন বিপন্ন হওয়া আশঙ্কা থাকলে রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারবেন।হে জরুরি অবস্থা ঘোষণা পরবর্তী ঘোষণা ধারা প্রত্যাহার করা হবে এবং সংসদে উত্থাপিত হবে এবং 120 দিন অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে সংসদ দ্বারা অনুমোদিত না হলে তা কার্যকর থাকবে না।
দ্বিতীয়,সংবিধানের 26 ও 24 দ্বারা সংশোধন করে বলা হয় যে সংবিধান সংশোধনের করার ফলে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন হলে সংবিধানের 26 ধারা মোতাবেক উক্ত সংশোধনীকে অবৈধ বলে গণ্য করা যাবেন।
তৃতীয়ত,সংবিধানের 33 নং অনুচ্ছেদে সংবিধান সংশোধন করে বলা হয়েছে যে কোনো কারণ না দর্শায়ে যে কোন ব্যক্তিকে যে কোন সময় গ্রেপ্তার বিনা বিচারে আটক রাখা যাবে।
চতুর্থ,সংবিধানের 72 অনুচ্ছেদের সংশোধন করে বলা হয়েছে সংসদের অধিবেশনের মাসে বিরতির সময় সীমা 120 দিন, পূর্বে এই সময় সীমা ছিল 60 দিন।
বাংলাদেশ সংবিধান (তৃতীয় সংশোধন) আইন ,১৯৭৪: Second Amendment of Bangladesh constitution, 1974:
1974 সালের 16 মেগণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং গণপ্রজাতন্ত্রী ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর মধ্যে উভয় দেশের সীমানা চিহ্নিতকরণ চুক্তি সম্পাদিত হয়।এ চুক্তির দ্বারা মিজোরাম বাংলাদেশ-ত্রিপুরা সিলেট ভগলপুর রেলওয়ে লাইন শিবপুর গলা নদী এলাকা ত্রিপুরা নোয়াখালী কুমিল্লা সেক্টর ফেনী নদী সীমান্ত ত্রিপুরা পার্বত্য চট্টগ্রাম সেক্টর বিয়ানীবাজার করিমগঞ্জ এলাকার সীমানা চিহ্নিত করা হয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ গঠিত হয় 1974 সালের 28 নভেম্বর এর ফলে সংবিধান সংশোধন করতে হয়। সংবিধানে সংশোধনী তৃতীয় সংশোধনী নামে পরিচিত।
এই সংশোধনীতে বলা হয়েছে যে চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যবর্তী সীমানা নির্ধারণের পর সরকারি গেজেটে বিজ্ঞপ্তি তারা সরকারকে তারিখ বর্ণনা করেন সে তারিখ হতে বিজ্ঞপ্তিতে বর্ণিত অন্তর্ভুক্ত এলাকা বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় সীমানার অংশ হবে এবং বহির্ভূত এলাকা এর হবে না।

إرسال تعليق