জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ এর কর্মকান্ড সমূহ

জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ এর কর্মকান্ড সমূহ



জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ এর কর্মকান্ড সমূহ: বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য সহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জাতিসংঘের তার যথাযথ ভূমিকা পালন করেনি 1971 সালে পাকিস্তানী বাহিনী যখন বাংলাদেশের নির্বিচারে গণহত্যা ও নারী নির্যাতন চালাচ্ছে তখন ভারত রাশিয়া প্রভৃতি রাষ্ট্রে জাতিসংঘে বাংলাদেশের গণহত্যা বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আবেদন জানিয়েছিল কিন্তু জাতিসংঘ তখন সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশের প্রশ্নের জাতিসংঘের এই নীরব ভূমিকা শান্তিপ্রিয় বিশ্ববাসী মনে হতাশা সৃষ্টি করে উপরন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে বন্ধ করার জন্য নিরাপত্তা পরিষদে জাতিসংঘের সশস্ত্র বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব করা হয় কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন ভুক্ত সেদিন নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায় এবং দীর্ঘ নয় মাস বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে লাভ কর। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংঘের সদস্য পদ লাভের জন্য আবেদন করলে গণচীন ভিডিও দেয় অবশ্য 1974 সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে।
জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ এর কর্মকান্ড সমূহ



বাংলাদেশ একটি শান্তিকামী রাষ্ট্র জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশ জাতিসংঘের সনদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের পর থেকে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আদর্শ সমুন্নত রাখতে বিশেষ আগ্রহী বাংলাদেশ জোট-নিরপেক্ষ পররাষ্ট্র নীতিতে বিশ্বাসী বাংলাদেশ পররাষ্ট্র নীতি হচ্ছে সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে শত্রুতা নয় বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য বাংলাদেশ সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার নিরস্ত্রীকরণ এর মাধ্যমে যুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ বদ্ধপরিকর পারমাণবিক শক্তি ধ্বংসাত্মক কাজে ব্যবহার না করে মানব কল্যাণে ব্যবহার করার জন্য বাংলাদেশ বিশ্বের সকলের নিকট আবেদন জানিয়েছে এছাড়া মধ্যপ্রাচ্য ফিলিস্তিনি আদায়ের সংগ্রামে ভারত মহাসাগরকে শান্তিলতা ঘোষণা ইরাক ইরান যুদ্ধ বন্ধ এবং আফগানিস্তান সমস্যা সহ সকলবিরোধের শান্তিপূর্ণ মীমাংসা করার জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টা ও কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ প্রতিবেশী রাষ্ট্র সমূহের সাথে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিশ্বাসী বাংলাদেশের 976 সালে জাতিসংঘে ফারাক্কা সমর্থন করে এবং জাতিসংঘের নির্দেশ মোতাবেক পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে আপসমূলক সমাধান করছে। 978 সালের বার্মার সাথে শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধান করছে।
1978 সালে বাংলাদেশে নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয় 980 সালে বাংলাদেশে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয় 986 সালের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশ সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।984 সালে তাদের সঙ্গে কার্যপ্রণালীতে বাংলা ভাষায় ব্যবহার বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের সম্মান প্রদর্শনের স্বাক্ষর বহন করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা রক্ষা এবং অর্থনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করে আমাদের বিশ্বের নিপীড়িত জনগণের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে এবং জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী বিভিন্ন জাতির মধ্যে স্থাপনসহ ভূমিকা পালন করছে বাংলাদেশ বন্ধনে আবদ্ধ।
বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের পর থেকে জাতিসংঘের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ বাংলাদেশের সাথে জাতিসংঘের সম্পর্ক নির্ণয় আলোচনা করা:

১. জাতিসংঘ সনদের প্রতি আস্থা:বাংলাদেশ জাতিসংঘের সনদের প্রতি আস্থাশীল বাংলাদেশ একটি শান্তিকামী রাষ্ট্র বাংলাদেশ সংবিধানের 25 নং ধারায় জাতিসংঘের প্রতীক সমর্থনে আবশ্যকতা তুলে ধরা হয়েছে । বাংলাদেশ জাতিসংঘের আদর্শ কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রতি সবসময় আস্থাশীল এবং সক্রিয়ভাবে সদাসর্বদা কর্মরত।
২. শক্তি প্রয়োগ নীতির প্রতি বিরোধী:
জাতিসংঘ শান্তিতে বিশ্বাসী বাংলাদেশ শক্তিপ্রয়োগ নীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য বাংলাদেশ জাতিসংঘের সাথে একত্রে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায় বাংলাদেশ পররাষ্ট্র নীতিতে বলা হয়েছে যে এদেশে সাম্রাজ্যবাদ বর্ণবৈষম্যবাদ উপনিবেশ ও সম্প্রসারণবাদের ঘোরতর বিরোধী।

৩. পারমাণবিক শক্তি বিরোধী: বাংলাদেশ জাতিসংঘের পারমাণবিক শক্তি বিবর্জত বিশ্ব ঘোড়ার সংকল্পের সাথে অঙ্গীকারবদ্ধ।


Post a Comment

أحدث أقدم

Comments system